পবিত্র রমজান মাসের শেষে জাঁকজমকের সাথে উদযাপিত হয় মুসলিমদের কাঙ্ক্ষিত ঈদ-উল-ফিতর। বিপুল উৎসাহ আর বাহারি সব খাবারের লোভনীয় আয়োজনের সমাহারে পালিত হয় এই উৎসব। তবে এই ঈদ উৎসবের আয়োজনেও আপনার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরি। আর সেজন্যই অপরিমিত হারে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ পরিহার করা উচিত।
স্বাস্থ্যকর ঈদ পালনের নিশ্চয়তায় কিছু নির্দেশনা:
- অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন
অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবারের বদলে, পরিমাণে অল্প কিন্তু পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে এবং মোটা হবার সম্ভাবনা বাড়ে। তাছাড়া অতিরিক্ত তেলচর্বি যুক্ত খাবার খেলে পেটের সমস্যা এবং বদ হজম হয়।
- রেড মিট থেকে সাবধান
হাই কোলেস্টরেলযুক্ত খাবার যেমন রেড মিট কম খাওয়া উচিত৷ শরীর সুস্থ রাখতে, মাংসের চর্বিযুক্ত অংশ খাবেন না৷ রেড মিটের পরিবর্তে কিছু মাছের পদ রাখতে পারেন।
- মিষ্টি জাতীয় খাবার কম গ্রহণ করুন
মিষ্টি জাতীয় খাবার একান্তই এড়াতে না পারলে, অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত৷ মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে একটু বদল আনুন। চর্বিযুক্ত অংশ বাদ দিন। চিনির বদলে মধু কিংবা খেজুর যোগ করতে পারেন, যা আপনার খাবারের পুষ্টিগুণ অনেক বাড়িয়ে দেয়।
- প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি যোগ করুন
মাংসের পাশাপাশি ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি গ্রহণ করুন। প্রচুর সালাদ খান। শাকসবজিতে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই পুষ্টি আপনার ক্ষুধা ভাব কমাবে, সেই সাথে আপনাকে উচ্চ ক্যালরি যুক্ত এবং মেদযুক্ত খাবার থেকে দূরে রাখবে।
- কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন
ভারী খাবার হজমে কোমল পানীয় কার্যকর নয়৷ এসব পানীয়ে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে যা শরীরের জন্যে ক্ষতিকর। তাই যতোটা সম্ভব এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত৷ কোমল পানীয়ের পরিবর্তে নারকেল পানি, টক দই, লাচ্ছি, লেবু পানি অথবা জিরা পানি পান করতে পারেন।
- প্রচুর পানি পান করুন
টানা এক মাস রোজা রাখার ফলে দেহের গ্লাইকোজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে। প্রচুর পানি পান করলে গ্লাইকোজেনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়।
- খাবারের রুটিন ঠিক করুন এবং প্রতি বেলার খাবারের মাঝে বিরতি নিন
শরীর সুস্থ রাখতে অনিয়মিত খাবার অভ্যাস ত্যাগ করুন। ঈদের মধ্যেও খাবারের রুটিন মেনে চলুন। খাবার সঠিক ভাবে হজম হওয়ার জন্য একবার খাবার গ্রহণের পর কমপক্ষে ৬ ঘন্টা বিরতি নিন।
- নিয়মিত শরীর চর্চা করুন
হাঁটাচলা এবং ব্যায়াম করলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে৷ নিয়মিত হাঁটাচলা আপনার পাকস্থলিকে সুস্থ রাখে এবং খাবার হজমে সাহায্য করে৷
পুষ্টি সচেতনতা নতুন কিছু নয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সবসময় খেয়াল রাখুন আপনি কি খাচ্ছেন। স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে পছন্দের সব ধরনের খাবার গ্রহণ করুন।